শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ : সারদেশের ন্যায় বরিশালেও প্রথমবারের মতো স্বর্ণ মেলা শুরু হয়েছে। যেখানে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা অপ্রদর্শিত সোনা বৈধ করার সুযোগ পাবেন। বরিশাল নগরের বান্দরোডস্থ হোটেল গ্রান্ড পার্কে সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় বেলুন-ফ্যাষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে দুইদিন ব্যাপি এ মেলার উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। পরে হোটেল গ্রান্ড পার্কের সাউথ গেট হলের মেলা প্রাঙ্গনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, এ মেলার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি সরকার থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করা হয়েছে। আশাকরি তারাও সরকারের ডাকে সারা দিবে। সকলের সহযোগীতাই দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অনুষ্ঠানে বরিশাল কর অঞ্চলের কর কমিশনার মোঃ খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মোঃ সাইফুল ইসলাম, দি বরিশাল চেম্বর অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টু ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সভাপিত শঙ্কর কর্মকার। উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার লুৎফর রহমান, উপ-কর কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী খান জসিমসহ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে বরিশাল কর অঞ্চলের কর কমিশনার মোঃ খাইরুল ইসলাম জানান, এটির নাম স্বর্ণ মেলা দেয়া হলেও প্রকৃত পক্ষে ব্যবসায়ীদের অপ্রদর্শিত স্বর্ণ ও স্বর্ণালংঙ্কার, কাট ও পোলিশ ডায়মন্ড এবং রৌপ্যের মজুতের পরিমাণের ভিত্তিতে কর পরিশোধপূর্বক উহা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে কর বিভাগ ব্যবসায়ীদের কাছে কোন ধরণের প্রশ্ন তুলবে না। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী খান জসিম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের চেষ্টার ফলে আমরা সোনা ব্যবসার স্বীকৃতি পাচ্ছি। সম্প্রতি সরকার আমাদের জন্য একটি নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। যার আওতায় এ ‘স্বর্ণ মেলা’র আয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর আমাদের সহযোগিতা করছে। ‘স্বর্ণ মেলা’য় ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা দিয়ে অপ্রদর্শিত সোনা বৈধ করা যাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর অঞ্চল বরিশালের আয়োজনে এ মেলায় ৭ টি স্টল রয়েছে। যার ৩টি স্টলে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ঘোষনাপত্র গ্রহন করতে পারবেন। এছাড়া জনতা ও সোনালী ব্যাংকের দুটি আলাদা স্টল এবং একটি হেল্প ডেস্ক ও একটি স্টলে ১২ ডিজিট টিআইএন গ্রহন করার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে।